mahabubalkiran1's Profile Pictures album on Photobucket

Tuesday, 28 May 2013

বুক জ্বলা, পেটে চিনচিনে ব্যথা ?


বুক জ্বলা, পেটে চিনচিনে ব্যথা?

 
bukjola
বুক জ্বলা, পেটের মাঝখানে চিনচিনে ব্যথা, পেট ফাঁপা ও ভার বোধ হওয়া, বুক-পেটে চাপ অনুভূত হওয়া—এসব হয়নি এমন মানুষ পাওয়া ভার। প্রচলিত কথায় একে বলে পেটে গ্যাস হয়েছে। পাকস্থলী থেকে খাদ্য হজম করার জন্য নির্গত হয় শক্তিশালী হাইড্রোক্লেরিক অ্যাসিড। যা পাকস্থলীকেই যেন হজম করে না ফেলে, সে জন্য এটির দেয়ালে থাকে প্রতিরোধী আবরণ। কোনো কারণে এই প্রতিরোধশক্তিতে ফাটল দেখা দিলে বা অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসৃত হতে থাকলে পুরো ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। একে বলে গ্যাস্ট্রিক আলসার।
কিছু সাধারণ নিয়মকানুন পালন করলে এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়।
১. নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য গ্রহণ করুন। পাকস্থলী নির্ধারিত সময়ে অ্যাসিড তৈরি হয়। এ সময় পেটে খাবার না পেলে সে নিজের দেয়ালেরই ক্ষতি করতে শুরু করে।
২. একবারে অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার না খেয়ে সারা দিনের খাবারটাকে বেশ কয়েক ভাগে ভাগ করে নিন। অনেকক্ষণ একটানা না খেয়ে থাকবেন না। মূল খাদ্য যেমন প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজ কখনো একবারে বাদ দেবেন না। অনেকেই প্রাতরাশ না খেয়েই বাইরে চলে যান, অনেকে আবার খাদ্যনিয়ন্ত্রণের নামে নৈশভোজ না করেই শুয়ে পড়েন, এগুলো মোটেই ভালো অভ্যাস নয়।
৩. ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে নিন। খাবার পর বসে পত্রিকা বা বই পড়ুন, অথবা টেলিভিশন দেখুন।
৪. ঘুমানোর সময় লক্ষ্য রাখুন, মাথা শরীরের চেয়ে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি ওপরে আছে কি না। অনেক সময় শোবার সমস্যার কারণে পাকস্থলীর খাবারসহ অ্যাসিড ওপরের দিকে ঠেলে আসে।
৫. ওজন কমান। মেদভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণ করুন।
৬. ধূমপান, তামাক ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
৭. অতিরিক্ত চা-কফি, চকলেট, তৈলাক্ত ও ভাজা পোড়া খাবার, বেশি মসলা ও তেল দিয়ে প্রস্তুত খাদ্য যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
৮. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তাও অনেক সময় এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপ সামলানোর চেষ্টা করুন।
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন

No comments:

Post a Comment