গর্ভাবস্থায় আপনজনদের যত পরামর্শ
একজন নারী যখন গর্ভধারণ করেন তখন তার পরিবারের সবাই অনেক বেশি খুশি হয়ে থাকেন। দুই পরিবারের জন্যই খুশির সংবাদে পরিণত হয় এটি। আর এই সময়ে অবশ্যই নারীদের বেশ খানিকটা সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। একজন নারী গর্ভধারণ করলে কিছু কথা তার নানী, চাচী, ফুফু, মা বা খালা জাতীয় আত্মীয় স্বজনরা বলতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। এবং পরামর্শগুলো আসলে ঠিকও। আসুন জেনে নেই সেই পরামর্শগুলো।

১. আপনি এমনই একজন গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন তাহলে তারা আপনাকে প্রথমেই বলে থাকবেন, ‘এই সময়টা মানুষের জীবনের সবচেয়ে খুশির একটি সময়। সাথে সাথে এটি খুব বিপজ্জনক একটি সময়ও। এ সময় মায়েদের অনেক সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। তা না হলে সামান্য ভুলের জন্য আসন্ন সন্তান ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।’

৩. ‘এই বেশি করে শরীরের যত্ন নিতে হবে। সময় মত সব কাজ করে ফেলতে হবে। নিয়ম করে ঘুমানো, নিয়ম করে খাওয়া এবং নিয়ম করে গোসল সেরে নিতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম চলবে না। আস্তে আস্তে চলাফেরা করতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।’
৪. ‘খাওয়া দাওয়া ঠিকভাবে করতে হবে। এ সময় এমনও হবে যে একেবারেই খেতে ইচ্ছা করবে না। কিন্তু তারপরও নিয়ম করে খেতে হবে। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আমিষ, ভিটামিন খেতে হবে। মনে রাখতে হবে বাচ্চার সুস্থতা নির্ভর করে যথেষ্ট খাওয়া দাওয়ার উপরে।’
৫. সব আত্মীয় স্বজনরা গর্ভকালীন সমস্ত পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেন। তারা বলে থাকেন, ‘ তোমরা এখনই সিদ্ধান্ত নাও কোন হসপিটালে ডেলিভারী করাবে। সেখানকার সব ব্যবস্থা কেে রাখা ভালো। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নাও।’

৭. ‘ কোনো ধরনের বাজে চিন্তা করা যাবে না। মানসিকভাবে হতাশ থাকা যাবে না। রাতে ঘুম না আসলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।’
৮. এ সময় অনেক নারীরাই অনেক ফিগার নিয়ে টেনশনে পড়েন। এই বিষয়ে পরিবারের সবাই বলে থাকেন, ‘তোমার মাঝে এমন একটি ক্ষমতা আছে যে তুমি আরেকটি মানুষতে জন্ম দিতে পারছ। তাই তার যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয় তার দায়িত্ব তোমার। ফিগার নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতা আসন্ন সন্তানের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই এই বিষয় নিয়ে আপাতত চিন্তা না করাই ভালো।
৯. ‘তুমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছ, বয়স বেড়ে যাচ্ছে, চেহারায় তার ছাপ পড়ছে, একজন গর্ভবতী মায়েদের এসব নিয়ে একেবারেই ভাবা উচিৎ নয়। এখন সময় তোমার সন্তানকে নিয়ে ভাবা।’
১০. ‘গর্ভকালে স্বামীর সাথে সহবাস করতে হলে অবশ্যই আসন্ন বাচ্চার কথা মাথায় রাখতে হবে। এমন কিছু করা উচিৎ নয় যেটিতে সন্তানের ক্ষতি হয়।’
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/36025#sthash.fmec4ayC.dpuf
No comments:
Post a Comment