mahabubalkiran1's Profile Pictures album on Photobucket

Monday, 16 June 2014

বিয়ের আগে অবশ্যই জেনে নিন হবু বর বা কণের ব্লাড গ্রুপ! কিন্তু কেন?



বিয়ের আগে অবশ্যই জেনে নিন হবু বর বা কণের ব্লাড গ্রুপ! কিন্তু কেন?
অনেক প্রেমিক-প্রেমিকাকেই দেখা যায় পরস্পরের ব্লাড গ্রুপ নিয়ে চিন্তিত হতে। বেশিরবাগ মানুষেরই ধারণা বর ও কণের ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে হতে পারে নানান রকম সমস্যা? আসলেই কি তাই? না, ধারণাটি একদম ভুল। ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে কোনো সমস্যা নেই। তবে বিয়ের আগে বর ও কণের ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। কেন এটা এত জরুরী? আসুন, জেনে ও বুঝে নেই সেই বিষয়টি।
জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে জরুরী কিছু তথ্যঃ
স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার। প্রধানত ব্লাড গ্রুপ কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।
ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ
A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve. জেনে নেয়া যাক, যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেওয়া হয় তাহলে কী হবে?
কেন টেস্ট করাবেন?
যখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবারে সাধারণত কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরী হবে। ফলে রোগী যদি আবার কখনও পজেটিভ ব্লাড শরীরের নেয় তাহলে তার ব্লাড cell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এবং মারাত্মক সমস্যা দেখা দেবে। যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ কী রকম হওয়া দরকার?
যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে।
কিন্তু স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয়, তাহলে স্ত্রীকেও পজেটিভ ব্লাড গ্রুপের একজন হতে হবে। কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না। অর্থাৎ একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের নারী কেবলই একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষকে বিয়ে করাই নিরাপদ।
যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে?
রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে ভিন্ন ব্লাড গ্রুপে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয়, তাহলে সন্তান জন্মের সময়ে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়।
যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারনত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপও পজেটিভ হবে। যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাডগ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ Fetus(ভ্রুন), তখন সাধারনত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ Fetus এর ব্লাড, placental barrier ভেদ করে এবং placental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh এন্টিবডি তৈরী করবে। এবং সমস্যা হবে দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে।
যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তার fetus এর ব্লাডগ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয় তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি তৈরী হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন fetus এর শরীরে Rh antibody ঢুকবে তখন fetal এর RBC এর সাথে agglutination হবে, যার ফলে RBC ভেঙে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ “Rh incompatibility” বলে। অর্থাৎ শিশুটি মারা যাবে।
অর্থাৎ পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষ নেগেটিভ গ্রুপের মহিলাকে বিয়ে করলে তাঁদের একটিই সন্তান থাকার সম্ভাবনা বেশি। কোন কারণে প্রথম সন্তানটি জন্ম না নিলে পরবর্তীতে তারা নিঃসন্তান থেকে যাবার সম্ভাবনাও অত্যন্ত বেশি।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/36506#sthash.KLeSwFC2.dpuf

যে ৭টি কথা সন্তানকে প্রতিদিন একবার করে বলা উচিত


আপনার সন্তানকে নিশ্চয়ই আপনি নিজের চাইতেও বেশি ভালোবাসেন। প্রত্যেকেই চান তার সন্তান বেড়ে উঠুক একজন সফল এবং ভালো মানুষ হিসেবে। আর তাই নিজের সন্তানের দেখাশোনার কোনো ত্রুটি রাখতে চান না কেউ। আপনার আদরের সন্তানকে প্রতিদিন কিছু বিশেষ কথা জানানো জরুরী। বিশেষ সেই কথাগুলো আপনার সন্তানের মনে ঢুকিয়ে দিলে জীবনের চলার পথে যেকোনো সমস্যার মোলাবেলা সহজেই করতে পারবে সে। জেনে নিন ৭টি কথা সম্পর্কে যেগুলো প্রতিদিনই একবার করে বলা উচিত সন্তানকে।
যে ৭টি কথা সন্তানকে প্রতিদিন একবার করে বলা উচিত
১) আপনার সন্তানকে প্রতিদিন একবার করে বলুন ‘তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে। তাকে বিশ্বাস করে ছোট খাটো কিছু দায়িত্ব পালন করতে দিন। তাহলে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং সে আপনাকে আরো বেশি ভালোবাসবে।
২) সন্তানকে প্রতিদিন একবার করে হলেও বলুন সে যেন হাল ছেড়ে না দেয়। প্রতিটি কাজেই তাকে উৎসাহ দিন এবং হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিতে মানা করুন। তাকে বলুন ধৈর্য ধরে এগিয়ে গেলেই সাফল্যের দেখা পাবে সে।
৩) কোনো কিছু না পারলে তাকে বকাঝকা না করে আরো বেশি অনুশীলন করতে বলুন। তাকে সবসময়েই এটা বলুন যে বার বার অনুশীলন করলেই সে ‘পারফেক্ট’ হতে পারবে।
৪) প্রতিটি ‘এক্সপার্ট’ মানুষই একসময়ে আনাড়ি ছিলো। এই কথাটি আপনার সন্তানকে প্রতিদিনই বুঝিয়ে বলুন। এতে সে যে কোনো কাজে সাহস পাবে।
৫) ব্যর্থতা কোনো অপরাধ নয় এটা আপনার সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন। আপনার সন্তান কখনো ব্যর্থ হলে তাকে বকাঝকা না করে ব্যর্থতা কে ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বলুন।
৬) মাঝে মাঝে খারাপ সময় আসে জীবনের । খারাপ সময় থেকে শিক্ষা নিয়ে ভালো সময়ে সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য সন্তানকে উৎসাহিত করুন নিয়মিত
আপনার সন্তানকে প্রতিদিনই জানিয়ে দিন তাকে আপনি কত ভালোবাসেন।
৭) পরিবার হলো সবচাইতে নিরাপদ যায়গা এবং পরিবার আপনার সন্তানকে কতটা ভালোবাসে সেকথা তাকে জানিয়ে দিন। এতে সে নিজেকে নিরাপদ ভাববে এবং পরিবারের প্রতিও সে ভালোবাসা দেখাবে।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/36514#sthash.aUcFoI8w.dpuf

Thursday, 12 June 2014

মেয়েরা যে ৬ টি কথা মুখে বলেন কিন্তু বোঝাতে চান অন্য কিছু!

বেশীরভাগ ছেলেদের একই আক্ষেপ ‘মেয়েদের বোঝা বড় দায়’। আসলেই মেয়েদের বোঝা দায়। কারণ তারা আসলে কী চান তা অনেক সময় তারা নিজেরাই বুঝতে পারেন না। অনেক সময়েই মেয়েদেরকে নিজের গোলোকধাঁধাঁয় নিজেকেই পড়তে দেখা যায়। হয়তো দেখা গেল মুখে বলছেন একটি কথা কিন্তু তাদের অন্তরে অন্য একটি কথা বাজছে। মেয়েরা চান তাদের অন্তরের কথাটা যেন ছেলেরা বুঝতে পারেন। যা ছেলেদের পক্ষে বোঝা আসলেই সম্ভব নয়।
মেয়েরা যে ৬ টি কথা মুখে বলেন কিন্তু বোঝাতে চান অন্য কিছু!
কিন্তু কিছু মারাত্মক কথা আছে যা মেয়েরা ব্যবহার করে থাকেন যার অর্থ না বুঝতে পারলে ক্ষতি ছেলেদেরই। কারণ না বুঝে কাজ করার পর মেয়েটির রিঅ্যাকশনের পুরোটাই সহ্য করতে হবে ছেলেটিকে। চলুন তবে আজকে দেখে নেয়া যাক মেয়েদের কিছু কথা আসল অর্থ।
‘আচ্ছা ঠিক আছে’
তর্কের সময় যদি আপনার প্রেমিকা/ স্ত্রী ‘আচ্ছা ঠিক আছে’ বলে কথা শেষ করেন তাহলে বুঝে নেবেন তিনি জানেন ঠিক বলছেন এবং আপনার চুপ থাকা উচিৎ এখন। এই জিনিসটি যদি আপনি না বুঝে তর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন তাহলে গৃহযুদ্ধের জন্য তৈরি থাকবেন।
‘কিছু না’
মেয়েরা স্বভাবতই নিজের আবেগ একটু বেশীই প্রকাশ করে থাকেন। তাই তিনি যখন বলবেন কিছু না তখন আপনি ভেবে নেবেন অবশ্যই এখানে কিছু আছে। এবং তার কিছু না বলার অর্থ আপনি তাকে বারবার জিজ্ঞেস করে সত্যটা বের করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি না বুঝে ‘ও আচ্ছা’ বলে চুপ থাকেন তাহলে রাগটা আপনার উপরেই পড়বে।
‘আচ্ছা যাও/ করো’
আপনি কোনো কাজ সম্পর্কে তাকে জানালেন, আপনি কোথাও যেতে আগ্রহী এবং কোনো কাজ করতে আগ্রহী, তখন যদি আপনার সঙ্গিনী শুকনো গলায় বলে ফেলেন "আচ্ছা যাও/করো" তাহলে খুশি মনে কাজে চলে যাবেন না। এটি মোটেও তার সম্মতির লক্ষণ নয়। এটি আপনাকে ছুঁড়ে দেয়া একটি চ্যালেঞ্জ। আপনি যদি কাজটি করে ফেলেন তবে আপনি চ্যালেঞ্জ হেরে যাবেন।
‘তুমি যা চাও’
আপনি কোনো কাজে আপনার সঙ্গিনীকে তার পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করার পর তিনি যদি বলেন ‘তুমি যা চাও/ তোমার ইচ্ছা’, তাহলে ভুলেও নিজের ইচ্ছা ও চাওয়া খাটাতে যাবেন না। আপনার সঙ্গিনী এই কথা দিয়ে বোঝাতে চান যে, আপনি সেই কাজটিই করুন যা তিনি পছন্দ করেন। তিনি দেখতে চান আপনি তার পছন্দ অপছন্দ মনে রেখেছেন কিনা বা গুরুত্ব দেন কিনা।
‘আমি ঠিক আছি’
এই কথাটিও ‘কিছু না’ ধরণের কথা। কোনো মেয়েকে কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে সে যেমনই থাকুন না কেন আপনাকে বলবেন ‘আমি ঠিক আছি’। আপনি যদি তার কথা মেনে নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন না করেন তাহলে বিপদ আপনারই। তার কথা বলার ধরণ, গলার টোন থেকে আপনাকে বুঝতে হবে তিনি কি আসলেই ঠিক আছেন কিনা। যদি বোঝেন তিনি আসলে ঠিক নেই তাহলে তাকে অবশ্যই প্রশ্ন করা শুরু করুন।
‘ওয়াও, তাই নাকি’
এই কথাটি মেয়েদের কথার মধ্যে সব চাইতে ভয়ানক কথা। কারণ সাধারণ ভাবে এই কথাটি কারো সম্পর্কে ইমপ্রেস হলে কিংবা অবাক হলে বলা হয়ে থাকে। বিশেষ করে কারো গুণাগুণ ও দক্ষতা সম্পর্কে। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি সামান্য ভিন্ন। তারা কমপ্লিমেন্ট হিসেবে এই কথাটি খুব কম ব্যবহার করেন। তারা তখনই এই কথা ব্যবহার করেন যখন তারা মনে মনে ভাবেন ‘মানুষ কি করে এতো বড় গাধা আর স্টুপিড হতে পারে’। সুতরাং সাবধান।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/36367#sthash.3d6ZBlXc.dpuf

Monday, 9 June 2014

হাতের নখ দেখে বুঝে নিন জটিল কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ

প্রাচীন চীনের চিকিৎসকগণ হাতের আঙুলের নখ দেখে স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করতেন। নখ হৃদরোগ থেকে থাইরয়েড সমস্যা ও অপুষ্টিজনিত অনেক সমস্যাই চিহ্নিত করতে পারে। জেনে নিন জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার ৫টি লক্ষণ যা নখ দেখে বুঝতে পারবেন আপনিও—
হাতের নখ দেখে বুঝে নিন জটিল কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ
১। আঙুলের মাংস থেকে নখ পৃথক হয়ে আসা:
নখ আঙুলের মাংসের সাথে যুক্ত থাকে। যদি এমন কখনো হয় যে নখ আঙুল থেকে উঠে আসছে অর্থাৎ নখ মাংস থেকে ছেড়ে আসছে তবে তা অবশ্যই স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। জীবাণুর সংক্রমণ, থাইরয়েড রোগ, ড্রাগ রিয়েকশন, Psoriasis, নখ অস্বাভাবিক শক্ত হওয়া প্রভৃতি সমস্যায় এরকমটি হতে পারে।
২। নখ হলুদ হওয়া:
নখ তার স্বাভাবিক রঙ হারিয়ে হলুদ হয়ে গেলে, নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে ও উজ্জ্বলতা কমে গেলে ধারণা করা হয় জণ্ডিস, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা বা হাতফোলা রোগ (lymphedema) শরীরে বাসা বেঁধেছে।
৩। চামচ আকৃতির নখ:
নখ নরম ও পাতলা হয়ে ক্ষয়ে গিয়ে চামচের অবতল পিঠের মতো আকার ধারণ করার সম্ভাব্য কারণগুলো হচ্ছে— শরীরে আয়রণের অভাব ও রক্তশূন্যতা।
৪। নখের অস্বাভাবিক বক্রতা:
নেইলস্ট্রিপের কাছাকাছি থেকে নখ যদি একটু উপরের দিকে বেঁকে বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ নখ ও নখের মাংসের স্বাভাবিক কৌণিক অবস্থান যদি না থাকে তবে এর কারণ হতে পারে— হৃদরোগ, রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ বা লিভারের রোগের মতো জটিল রোগ।
৫। অস্বচ্ছ নখ:
নখ যদি অস্বচ্ছ হয় এবং নখে গাঢ় দাগ পড়ে তবে বুঝতে হবে এটির কারণ হয়তো অপুষ্টি, হৃদক্রিয়ার সমস্যা, ডায়াবেটিস বা যকৃতের রোগ।
নখের এইসব সমস্যার কোনটি দেখা দিলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকুন।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/35893#sthash.JMEKlkCa.dpuf

গর্ভাবস্থায় আপনজনদের যত পরামর্শ

একজন নারী যখন গর্ভধারণ করেন তখন তার পরিবারের সবাই অনেক বেশি খুশি হয়ে থাকেন। দুই পরিবারের জন্যই খুশির সংবাদে পরিণত হয় এটি। আর এই সময়ে অবশ্যই নারীদের বেশ খানিকটা সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। একজন নারী গর্ভধারণ করলে কিছু কথা তার নানী, চাচী, ফুফু, মা বা খালা জাতীয় আত্মীয় স্বজনরা বলতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। এবং পরামর্শগুলো আসলে ঠিকও। আসুন জেনে নেই সেই পরামর্শগুলো।
গর্ভাবস্থায় আপনজনদের যত পরামর্শ
১. আপনি এমনই একজন গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন তাহলে তারা আপনাকে প্রথমেই বলে থাকবেন, ‘এই সময়টা মানুষের জীবনের সবচেয়ে খুশির একটি সময়। সাথে সাথে এটি খুব বিপজ্জনক একটি সময়ও। এ সময় মায়েদের অনেক সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। তা না হলে সামান্য ভুলের জন্য আসন্ন সন্তান ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।’
২. তার সতর্ক করে থাকেন এই বলে যে, ‘এ সময় কোনো ধরনের ভারী কাজ একেবারেই নয়। কোনোভাবেই সন্তানের ক্ষতি হয় এই কাজগুলো করা যাবে না।’
৩. ‘এই বেশি করে শরীরের যত্ন নিতে হবে। সময় মত সব কাজ করে ফেলতে হবে। নিয়ম করে ঘুমানো, নিয়ম করে খাওয়া এবং নিয়ম করে গোসল সেরে নিতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম চলবে না। আস্তে আস্তে চলাফেরা করতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।’
৪. ‘খাওয়া দাওয়া ঠিকভাবে করতে হবে। এ সময় এমনও হবে যে একেবারেই খেতে ইচ্ছা করবে না। কিন্তু তারপরও নিয়ম করে খেতে হবে। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আমিষ, ভিটামিন খেতে হবে। মনে রাখতে হবে বাচ্চার সুস্থতা নির্ভর করে যথেষ্ট খাওয়া দাওয়ার উপরে।’
৫. সব আত্মীয় স্বজনরা গর্ভকালীন সমস্ত পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেন। তারা বলে থাকেন, ‘ তোমরা এখনই সিদ্ধান্ত নাও কোন হসপিটালে ডেলিভারী করাবে। সেখানকার সব ব্যবস্থা কেে রাখা ভালো। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নাও।’
৬. ‘ যে কোনো ভারী কাজ যেমন ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া, আসবাবপত্র টানা এ সমস্ত কাজ একেবারেই করা চলবে না। এতে করে সন্তানের উপরে চাপ পড়বে। তাই এই ধরনের কাজ থেকে একেবারে বিরত থাকবে।’
৭. ‘ কোনো ধরনের বাজে চিন্তা করা যাবে না। মানসিকভাবে হতাশ থাকা যাবে না। রাতে ঘুম না আসলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।’
৮. এ সময় অনেক নারীরাই অনেক ফিগার নিয়ে টেনশনে পড়েন। এই বিষয়ে পরিবারের সবাই বলে থাকেন, ‘তোমার মাঝে এমন একটি ক্ষমতা আছে যে তুমি আরেকটি মানুষতে জন্ম দিতে পারছ। তাই তার যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয় তার দায়িত্ব তোমার। ফিগার নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতা আসন্ন সন্তানের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই এই বিষয় নিয়ে আপাতত চিন্তা না করাই ভালো।
৯. ‘তুমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছ, বয়স বেড়ে যাচ্ছে, চেহারায় তার ছাপ পড়ছে, একজন গর্ভবতী মায়েদের এসব নিয়ে একেবারেই ভাবা উচিৎ নয়। এখন সময় তোমার সন্তানকে নিয়ে ভাবা।’
১০. ‘গর্ভকালে স্বামীর সাথে সহবাস করতে হলে অবশ্যই আসন্ন বাচ্চার কথা মাথায় রাখতে হবে। এমন কিছু করা উচিৎ নয় যেটিতে সন্তানের ক্ষতি হয়।’
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/36025#sthash.fmec4ayC.dpuf

যে খাবারগুলো আপনাকে রাখবে ‘সুপারফিট’ চিরকাল

কানিজ দিয়া


স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ঠিক তো সব ঠিক। স্বাস্থ্য ঠিক থাকলেই আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সকল ধরণের চাপ নেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে পারি। আর আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য সব চাইতে বেশি প্রয়োজনীয় সঠিক খাবার।
যে খাবারগুলো আপনাকে রাখবে ‘সুপারফিট’ চিরকাল
খাবারই আমাদের দেহকে ঠিক রাখার জন্য সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সুষম খাবারের বিকল্প নেই বলাই বাহুল্য। এমন অনেক খাবার রয়েছে যা আমাদের চিরকাল ফিট থাকতে অনেক সাহায্য করে। চলুন আজকে চিনে নেয়া যাক চিরকাল ‘সুপারফিট' থাকতে আমাদের যে খাবারগুলো প্রয়োজন সেই খাবারগুলোকে।
চিরকাল ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে মাছ
সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন মাছ খেলে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া, দাগ ও রিঙ্কেল পড়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। মাছের প্রোটিন এবং ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড চামড়া ঝুলে পড়ার হাত থেকেও আমাদের ত্বককে রক্ষা করে থাকে।
মানসিক চাপমুক্ত থাকতে গ্রিন টী
গ্রিন টীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কম্পাউন্ড আমাদের মস্তিস্কের রকের সুগারকে স্টিমুলেট করে আমাদের দেহে এনার্জি সরবরাহের হরমোন তৈরি করে। এছাড়াও এটি ভাললাগার হরমোন এন্ডোরফিন উৎপন্ন করে যা আমাদের মানসিক চাপকে দূর করে সহজেই।
স্মৃতিশক্তি উন্নয়নে হলুদ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে হলুদ আমাদের স্মৃতিশক্তি প্রায় ৩০% পর্যন্ত উন্নত করতে সহায়তা করে। হলুদে বিদ্যমান কারকিউমিন আমাদের মস্ততিস্কের নিউরনের উন্নতি সাধন করে।
উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে দারুচিনি
গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন মাত্র অর্ধেক চা চামচ পরিমাণে দারুচিনি গুঁড়ো আমাদের দেহের রক্তের চিনির মাত্রা কমিয়ে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা প্রায় ২৯% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। তাই হেলথ এক্সপার্টগন উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করতে বলে থাকেন।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শাকসবজি
প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় শাকসবজি রাখা হলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুণ পরিমাণে বেড়ে যায়। ফলে নান রোগ থেকে আমাদের দেহ রক্ষা পায় বেশ সহজেই। তাই খাদ্যতালিকায় রঙ বেরঙের সকল সবজি রাখালেই থাকতে পারবেন সুপার ফিট।
দেহের অভ্যন্তরীণ ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে মধু
মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টি বায়োটিক হিসেবে অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত মধু খেলে আমাদের দেহের ভেতরকার ক্ষতিকর ভাইরাস সমূহ ধ্বংস হয়ে যায়। সাইনাসের সমস্যা এবং ঠাণ্ডা সর্দি ধরণের ছোটোখাটো রোগ দ্রুত সেরে যায়।

- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/36195#sthash.kotHnB7l.dpuf