mahabubalkiran1's Profile Pictures album on Photobucket

Friday, 15 August 2014

স্ত্রীর সঙ্গ পেতে হাত লাগান বাড়ির কাজে

আপনি কি নিজের স্ত্রী’কে বাড়ির কাজে সাহায্য করেন? যদি না করে থাকেন, তাহলে সুখী এবং আনন্দের দাম্পত্য জীবনের জন্য ঘরের কাজে সাহায্য করুন স্ত্রী’কে। বাড়ির কাজ আপনি এবং আপনার স্ত্রী একসঙ্গে করলে দুজনের যৌন সম্পর্ক অনেক বেশি সুখকর হবে, এমনটাই জানা গিয়েছে সম্প্রতি একটি গবেষণার মাধ্যমে।
স্ত্রীর সঙ্গ পেতে হাত লাগান বাড়ির কাজে
কাউন্সিল অফ কনটেম্পোরারি ফ্যামিলির প্রধান প্রফেসর শ্যারন স্যাসলার তার দীর্ঘ গবেষণার পর এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। তার মতে দশ’জন দম্পতির মধ্যে তিন’জন নিজেদের বাড়ির কাজ ভাগ করে নিয়ে করেন এবং সমীক্ষার মাধ্যমে যানা গিয়েছে তাদের দাম্পত্য জীবন বাকিদের থেকে অনেক বেশি সুখের।
গবেষণার মাধ্যমে যে তথ্যগুলি সামনে এসেছে তা হল, স্বামীরা যদি স্ত্রীদের বাড়ির কাজে সাহায্য করেন তবে মহিলারা অনেক বেশি ইচ্ছুক থাকেন যৌন মিলন সম্পর্কে। কিন্তু প্রতিদিনের বাড়ির কাজ একা হাতে সামলাতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে যান মহিলারা এবং স্বাভাবিকভাবেই রাত্রে যৌনমিলনে অনীহা প্রকাশ করেন।
বেশ কিছু বছর আগে একটি সমীক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে জানা গিয়েছিল গৃহকর্মে যে দম্পতিরা ব্যস্ত থাকেন তাদের মধ্যে যৌন চাহিদা কমে যায়।
কিন্তু এই প্রসঙ্গে প্রফেসর স্যাসলার বলেছেন, ‘ আগের গবেষণাটিতে মূলত ১৯৮০ সালের জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে করা হয়েছিল। তাই ওই ধরনের ফলাফল বেরিয়েছিল।’
কিন্তু এখন জীবনযাত্রা পালটে গিয়েছে। স্বামী স্ত্রী দুজনেই কর্মরত সেখানে কাজ ভাগ করে নিলে ক্লান্তিও বেশি হয় না এবং একে অপরের প্রতি টান থাকে যার ফলে যৌন মিলনের ইচ্ছা বেঁচে থাকে। তাই আজকের যুগের নতুন স্বামীরা, স্ত্রী’র সঙ্গে বেশি পেতে হলে তাদের ঘরের কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন ।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/38440#sthash.GinZ1ORA.dpuf

মধুর দাম্পত্যের জন্য প্রতিদিন যে অভ্যাসগুলো রপ্ত করা একান্ত প্রয়োজন

নুসরাত শারমিন লিজা


ইদানিং প্রতিটি সম্পর্ক নিয়েই মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্ক হলে যেন অভিযোগ সবচাইতে বেশি। প্রতিটি বিষয় নিয়েই আজকাল দম্পতিদের মাঝে দেখা দিচ্ছে নানান অসন্তোষ ও অভিযোগ। ফলে দাম্পত্য সম্পর্কগুলো হারিয়ে ফেলছে মধুরতা। দাম্পত্য সম্পর্ককে মধুর করে তুলতে চাইলে কিছু বিশেষ অভ্যাস রপ্ত করা প্রয়োজন। হঠাৎ হঠাৎ নয়, বরং প্রতিদিনের জন্য। প্রতিদিন এই ছোট্ট কাজগুলো করার বিশেষ অভ্যাস দাম্পত্য সম্পর্কে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি বিরক্তি দূর করে ফেলে খুব সহজেই। জেনে নিন দাম্পত্য সম্পর্ক মধুর করে তোলার সেই বিশেষ অভ্যাসগুলো সম্পর্কে যেগুলো রপ্ত করে নেবেন প্রতিদিনের জন্য।
মধুর দাম্পত্যের জন্য প্রতিদিন যে অভ্যাসগুলো রপ্ত করা একান্ত প্রয়োজন
একই সময়ে ঘুমানো
দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে দুজনে ঘুমিয়ে পড়ুন একই সময়ে। সারাদিনের ছোটখাটো গল্প আর ভালোবাসার মিষ্টি মিষ্টি কথায় ঘুমানোর আগের সময়টা বেশ ভালো কাটবে দুজনের। এতে সম্পর্কটাও আরো মধুর হয়ে উঠবে।
একই ধরণের শখ
আপনার সঙ্গীর শখ গুলোর প্রতি আগ্রহ দেখান। এতে আপনার সঙ্গীও আপনার শখ গুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবেন। আপনার সঙ্গীর কোনো শখ যদি আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে থাকে তাহলে সেটা তাকে বুঝতে দেবেন না। এতে সম্পর্কটা আরো সুন্দর হবে। সেই সঙ্গে কেটে যাবে সম্পর্কের একঘেয়েমি।
হাত ধরে হাঁটা
প্রেমের শুরুতে কিংবা বিয়ের পর পর হাত ধরেই হাঁটতেন দুজনে। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই হাঁটতে শুরু করেছেন নিজেদের মত করে। সেই পরস্পরকে ছুঁয়ে থাকার স্বভাবটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। আবারো ধরে ফেলুন সঙ্গীর হাতটি। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যেসব দম্পতি হাত ধরে হাঁটেন তাদের নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা ও নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টি হয় যা সম্পর্ককে সুখের করে তোলে।
কাজ শেষে দেখা হলেই আলিঙ্গন করা
সারাদিন দুজনেই ব্যস্ত সময় কাটান। দিন শেষে দেখা হয় দুজনের। এই সারাদিনের দেখা না হওয়ার দূরত্বটা নিমিষেই ঘুচে যাবে যদি আপনি দিন শেষে দেখা হওয়া মাত্র আপনার সঙ্গীকে আলিঙ্গন করেন। প্রতিদিনের এই অভ্যাসটি আপনার সম্পর্কটাকে সুন্দর রাখবে।
প্রতিদিন ‘ভালোবাসি’ বলা
সম্পর্কটা যতদিনের পুরোনোই হোক না কেন প্রতিদিনই সঙ্গীকে একবার করে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিন। ভালোবাসার কথা প্রতিদিন জানিয়ে দিলে সম্পর্ক কখনোই পুরনো হয়না।
সঙ্গীর দোষের বদলে গুণ খুঁজুন
বেশিরভাগ দম্পতিই সঙ্গীর দোষ খুঁজে বেড়াতে পছন্দ করেন। ফলে সম্পর্ক ভালো হওয়ার বদলে উল্টো খারাপ হতে থাকে। তাই অহেতুক সঙ্গীর দোষ না খুঁজে চেষ্টা করুন গুণ গুলো খুঁজে বের করার।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/38713#sthash.OBdx3W5H.dpuf

৮টি অতি সাধারণ কাজ, যেগুলো মেয়েদের কাছে দারুণ রোমান্টিক!

ভালোবাসা মানে কি কেবল প্রেমিকা কিংবা বউকে রাশি রাশি উপহার দেয়া, দামী রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া কিংবা এখানে-সেখানে ঘোরা প্রতিদিন? একদম কিন্তু নয়! এসব দিয়ে কিছু মেয়েকে খুশি করা যায় বটে, কিন্তু বেশিরভাগ মেয়েই খুশি হয়ে থাকেন একদম সাধারণ কিছু ভালোবাসায়। হয়তো আপনার কাছে সেটা খুবই আনরোমান্টিক বা মূল্যহীন, কিন্তু মেয়েদের কাছে বিষয়টির মূল্য অনেক বেশি। আসুন, জানিয়ে দেই ৮টি এমন কাজ সম্পর্কে, যেগুলো করার মাধ্যমে খুব সহজেই জিতে নিতে পারবেন আপনি পছন্দের মেয়েটির মন। এবং সহজে আর অন্য কোন পুরুষ স্থান করে নিতে পারবে না সেই মনে। আর হ্যাঁ, আপনাদের ভালোবাসা হয়ে উঠবে অনেক বেশি মজবুত ও সুন্দর।
৮টি অতি সাধারণ কাজ, যেগুলো মেয়েদের কাছে দারুণ রোমান্টিক!
১) চুম্বনটি হোক ভীষণ আন্তরিক
অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, চুমু তো আন্তরিকই হয়! চুমু খাওয়ার সময় তাঁর সুন্দর মুখটি নিজের দুহাতে কোমল করে ধরুন। আর অনেকটা সময় নরম করে তাকিয়ে থাকুন। দেখবেন, এই সামান্য জিনিসটি তিনি কি পছন্দই না করছেন। একটু লজ্জা পাচ্ছেন, আবার একটু খুশিও হচ্ছেন। নারীদের কাছে এই বিষয়টি খুব রোমান্টিক।
২) মাঝে মাঝেই তাঁর মাথায় হাত রাখুন
ভালোবাসা মানে শুধু তীব্র প্রেম আর দৈহিক আকর্ষণ নয়। একদম সাধারণ একটি স্পর্শও প্রকাশ করতে পারে গভীর ভালোবাসা। তাঁর মাথায় হাত রাখুন, কখনো চুলের মাঝে হাত বুলিয়ে দিন, মুখে চুল এসে পড়লে আলতো করে সরিয়ে দিন। আপনার এই ভালোবাসার ছোট্ট আচরণ তাঁর মনে তৈরি করে নেবে বিশাল একটি জায়গা।
৩) তাঁকেও সুযোগ দিন আরাম করার
আপনার স্ত্রী নিশ্চয়ই সারাদিন কাজ করেন বাসায়? আর কর্মজীবী হয়ে থাকলে তো বাসা-অফিস মিলিয়ে তাঁর অবস্থা নিশ্চয়ই কাহিল! বাড়িয়ে দিন সাহায্যের হাত। চেষ্টা করুন এটা-সেটায় তাঁকে একটু সাহায্য করতে। নিজে রাঁধতে না পারেন, মাঝে মাঝে ডিনারের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে না হয় বাইরে থেকেই খাবার কিনে আনুন। এই একটুখানি আদরে আপনি তাঁর কাছে পাবেন আন্তরিক সম্মান।
৪)দুজনে বাইরে যাচ্ছেন?
হয়তো স্ত্রী বা প্রেমিকা খুব সেজেগুজে বের হয়েছেন আপনা সাথে বেড়াতে যাবেন বলে। হয়তো সাধারণত রিকশা বা বাসেই চলাচল করেন আপনারা। আজ নিয়ম ভেঙে একটি সিএনজি বা ট্যাক্সি ভাড়া করে ফেলুন। একটুখানি আরামে দুজনে পাশাপাশি উপভোগ করুন খানিকটা সময়। একটা দিন নাহয় তাঁকে বাস বা রিকশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচিয়ে দিলেন।
৫) ভিড়ের মাঝে আগলে রাখুন
প্রচণ্ড ভিড় হয়তো বাসে কিংবা মার্কেটে। হয়তো কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন বা সিনেমায় গেছেন, সেখানেও। এই ভিড়ের মাঝে ভালোবাসার নারীকে অবশ্যই একটু আগলে রাখুন। চেষ্টা করুন তাঁকে ঠেলাঠেলি থেকে রক্ষা করতে, হাতটা শক্ত করে ধরে রাখুন। কে কী ভাবল সেসব নিয়ে চিন্তা করবেন না। সে যেন বোঝে যে জীবনের সকল পরিস্থিতিতে আপনি তাঁর পাশেই আছেন।
৬) সবসময় তাঁকে সুন্দর, পরিপাটি থাকার জন্য চাপ দেবেন না
হ্যাঁ, তিনিও মানুষ। সবসময় সুন্দর পোশাক পরে পরিপাটি থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সবসময়ে একজন মানুষকে দেখতে ভালো দেখানো এক কথায় অসম্ভব। তিনি যখন নিজের সবচাইতে খারাপ পোশাকটি পরে আছেন, কিংবা যেদিন তাঁকে দেখতে সবচাইতে বাজে লাগছে, কিংব সাজসজ্জা বিহীন ঘুরতে বেরিয়েছেন- তখনও তাঁকে সুন্দর বলুন। মিথ্যা করে হলেও বলুন। এই ছোট্ট মিথ্যাই তাঁকে নিয়ে আসবে আপনার খুব কাছাকাছি।
৭) ভুলবেন না ছোট্ট উপহার
তাঁকে অনেক কিছু কিনে দেয়ার সামর্থ্য নিশ্চয়ই আপনার আছে। কিন্তু সেসবের ভিড়ে ছোট্ট কিন্তু প্রিয় উপহার গুলোর কথা ভুলে যাবেন না। একটু ফুল, প্রিয় চকলেট, একটা গান, এক গুচ্ছ চুড়ি কিংবা এক পাতা টিপ- এসবের মাঝে যে রোমান্টিকতা আছে সেসব আসলে আর কিছুর মাঝে নেই।
৮) ছোট্ট আদুরে জেদ করুন
এর অর্থ তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বরং নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করা। কী রকম? যেমন ধরুন তাঁর চোখের কাজল আপনার খুব ভালো লাগে, কিংবা কপালের টিপটা। আদর করে জানিয়ে দিন- "তুমি কিন্তু টিপ না পরে বাইরে মোটেও যাবে না!" এই সামান্য ব্যাপারে তিনি যে কতটা খুশি হবেন আপনার ধারণাও নেই।
জীবন একটাই। ভালো থাকুন, ভালো বাসুন।