mahabubalkiran1's Profile Pictures album on Photobucket

Wednesday, 5 June 2013

মাসের বাজার এক্ষুনি

মন্তব্য করুন
bazzar
‘সামনে রমজান মাস। একদিকে রোজা, অন্যদিকে কর্মব্যস্ত জীবন। এর মাঝে আবার যদি প্রতিদিন বাজারে যেতে হয়, তাহলে কী অবস্থা হয়, তা যিনি বাজার করেন তিনিই বলতে পারবেন। তাই এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে প্রতিবছর এ সময় পুরো মাসের প্রয়োজনীয় এবং বড় সব দ্রব্যসামগ্রী কিনে রাখি।’ বলছিলেন কারওয়ান বাজারের ক্রেতা শাহিনুর বেগম। ‘পুরো মাসের বাজারটা একবারে করে রাখলে টাকার অপচয় থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে ঝামেলা ও চিন্তামুক্ত থাকা যায়।’ বলেন রন্ধনশিল্পী রাহিমা সুলতানা।
আগেভাগে পরিকল্পনা
রমজান শুরুর আগেই পরিকল্পনা করে নিন মাসকাবারি বাজারের। কী কী দ্রব্য আপনার দরকার, তার হিসাব করে কত টাকা লাগতে পারে তার একটা সম্ভাব্য বাজেট করুন। এতে একবারে একটু বেশি টাকা লাগলেও মাসের শেষে ঠিকই দেখবেন, আপনার বেশ কিছু টাকা বেঁচে যাবে। বাজারের জন্য বাড়তি সময় বা ঝামেলা কমে যাবে।
রমজান মাসে যেহেতু ইফতারের বিষয় আছে, তাই সেভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। রোজার সময় এসব দ্রব্যের মূল্য সাধারণত ওঠানামা করে। কাজেই সময় নিয়ে বসে হিসাব কষে নিন, কোন জিনিস কতটুকু পরিমাণে লাগতে পারে। পাইকারি দোকান থেকে কেনার চেষ্টা করুন। আবার এ সময় অনেক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিশেষ ছাড়ে পণ্য বিক্রি চলে। চাইলে সেখানেও যেতে পারেন।
তালিকা করে নিন
রাহিমা সুলতানা জানান, রোজা রাখলে শরীরে পানির ঘাটতি হয়। তাই বাজার করার আগে তালিকায় অবশ্যই শুকনা ফলমূল, ফলের রস, শরবত ইত্যাদি রাখতে হবে। এতে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হবে। দেখুন পুরো মাসে আপনার কোন কোন জিনিস দরকার পড়বে। সেই সঙ্গে এটি সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকা দরকার। সাধারণত এ ধরনের জিনিসের মধ্যে ছোলা, আটা, ময়দা, বেসন, আলু, পেঁয়াজ, তেল, চিনি, গুড়, খেজুর, লবণ, মুড়ি, চিঁড়া, আদা, রসুন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এগুলো আপনি সারা মাসই ব্যবহার করতে পারবেন। অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকা করে খরচ বাড়াবেন না। তাই একটু বুঝেশুনে তালিকা তৈরি করুন। অনেকে তেলেভাজা খাবার পছন্দ করেন না, আবার অনেকে করেন। তবে এ সময় ভাজা খাবার কম খাওয়া ভালো। এ মাসে কী ধরনের খাবার খাবেন, এর একটি তালিকা পরিবারের সবাই মিলে বসে ঠিক করে নিতে পারেন। প্রতিদিন আপনার কোন দ্রব্য কতটুকু প্রয়োজন, তা হিসাব করে নিন। এটা সাধারণত পরিবারের সদস্যদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিন যদি আপনার ৩০০ গ্রাম আটা লাগে, তাহলে মাসে আপনার কী পরিমাণ আটা লাগবে, তা সহজেই বের করতে পারবেন।
অনেকে মনে করেন, ডুবো তেলে চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু ভাজলে তেল বেশি লাগে এবং তা খেলে সমস্যা হবে। আসলে তা নয়। ডুবো তেলে ভাজলে তেল কম লাগে এবং খাবারে তেল কম পরিমাণে প্রবেশ করে, তবে ভাজার তেল অবশ্যই গরম হতে হবে। লাগাতার ভাজাভুজি না খেয়ে দই-চিঁড়া, ফলমূল, শরবত ইত্যাদি খাবারের মাধ্যমে ইফতারে বৈচিত্র্য আনতে পারেন। রোজার মাসে বাসায় ইফতারের দাওয়াত থাকলে অথবা প্রতিবেশীদের বিলি করার কথা মাথায় রেখে পরিমাণ হিসাব করতে ভুলবেন না। ওই দিন বিশেষ কিছু করতে চাইলে তাও তালিকায় যোগ করে নিন।
কী কিনবেন, কতটুকু
কী কিনবেন, কতটুকু পরিমাণে কিনবেন, ভেবে পাচ্ছেন না? তাহলে দেখে নিতে পারেন রন্ধনশিল্পী রাহিমা সুলতানার দেওয়া পাঁচজনের একটি পরিবারে বাজারের তালিকা।
পণ্য পরিমাণ
আটা ৮-১০ কেজি
ছোলা ৫-৭ কেজি
ডাল ৫ কেজি
বেসন ৫ কেজি
পেঁয়াজ ১৫ কেজি
তেল ৮-১০ লিটার
চিনি ১০ কেজি
খেজুর ৫ কেজি
গুড় ২ কেজি
আলু ১০ কেজি
চিঁড়া ৪-৫ কেজি
মুড়ি ৪ কেজি
রসুন দেড় কেজি
আদা দেড় কেজি-২ কেজি
লবণ ২ কেজি।
এ ছাড়া মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরা ইত্যাদি ৫০০ গ্রাম করে কিনতে পারেন।
বাসায় রেফ্রিজারেটর থাকলে বেগুন, পটল, ধনেপাতা, শিম, করলা, ইত্যাদি সবজি রাখতে পারেন ৭-১০ দিনের জন্য।
ইফতারে কী খাবেন
ইফতারে অবশ্যই লেবু বা গুড়ের শরবত, ফলের রস আপনার ভেতরে সতেজতা ফিরিয়ে আনবে। মৌসুমি ফল ৪-৫ প্রকার, খেজুর, দই, চিঁড়া ভেজানো, বিভিন্ন চপ কম পরিমাণে, হালিম, কাঁচা ছোলার সঙ্গে আদা, পেঁয়াজ, মরিচসহ বিভিন্ন প্রকার সালাদ খেতে পারেন।
চাইলে ইফতারে সামান্য কিছু খেয়ে আপনি রাতের খাবার খেতে পারেন।
৬ আগস্ট ঢাকার কারওয়ান বাজার ঘুরে পণ্যের দামদর জানিয়ে দেওয়া হলো।
ছোলা ৪২ টাকা
ডাল (মসুর) ৭৫, ৯০, ৯৫ টাকা
বেসন ৩০-৬৫ টাকা (রকমভেদে)
পেঁয়াজ ২৬ টাকা
তেল ৮৩ টাকা
চিনি ৪৮ টাকা
আলু ১৫ টাকা
মুড়ি ৪৫-৫০ টাকা
খেজুর ৬৫ টাকা থেকে শুরু
গুড় ৫০-৫৫ টাকা
আদা ১০৫ টাকা
রসুন ১৪৫ টাকা
এ দাম কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।
লক্ষ রাখুন
 রমজান মাস শুরুর আগেই বাজারটা সেরে ফেলুন।
 প্রয়োজনীয় পণ্য খুচরা না কিনে পাইকারি দোকান থেকে কিনুন।
 ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, বেসন ইত্যাদি পথ্য শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করুন।
 মাঝেমধ্যে এগুলো রোদে দিতে পারেন।
 ভাজা খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
 খাবারের তালিকায় অবশ্যই ফলমূল ও সবজি রাখুন।
 তাজা জিনিস দেখে কিনুন।
 ডাল, ছোলা, বেসনে পোকা আছে কি না দেখে নিন।
 অনেক দিন রাখতে পণ্য ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন।

নখের অসুখ

নখের অসুখ

নখ ত্বকেরই অংশ, নখ প্রেস্টিন দিয়ে তৈরি। নখ প্রতিদিন তৈরি হয়। প্রতি মাসে ১/৮ ইঞ্চি নখ বড় হয়। পায়ের নখ হাতের নখের তুলনায় ধীরে বড় হয়। নখ সুন্দর রাখার জন্য নখের সঠিক যত্নও প্রয়োজন।
নখের নানারকম অসুখ হতে পারে। নানা অসুখে নখের পরিবর্তন আসতে পারে। শারীরিক নানা রকম অসুখ যেমন ফুসফুস বা হার্টের অসুখ, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি নানা কারণে নখের পরিবর্তন হয়।
নখের সাদা দাগঃ কোনো রকম ফাঙ্গাসের আক্রমণে নখে সাদা দাগ হতে পারে। এ ছাড়া নখের পাশের ত্বকে কোনো আক্রমণের কারণে নখে সাদা দাগ হতে পারে। মাস খানেকের মাঝে সাদা দাগ আপনা আপনি চলে না গেলে ত্বক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
নখের ভেফু যাওয়াঃ শারীরিক অসুখ এবং অনেক বাহ্যিক কারণে নখ ভেঙে যেতে পারে। খুব বেশি সাবান ব্যবহার, নেল পলিশ ব্যবহার ইত্যাদি কারণে নখ ভাঙতে পারে।
ভেঙে যাওয়া নখের যত্নঃ
অতিরিক্ত সাবান, নেলপলিশ, ব্যবহার করবেন না।
সাবান ব্যবহারের করে কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করবেন।
ল্যাকটিক এসিড ও ইউরিয়াযুক্ত ক্রিম প্রতি রাতে ব্যবহার করবেন।
১৫ দিন অন্তর হালকা গরম অলিভ তেলে ১৫ মিনিট আঙুল ডুবিয়ে রাখুন। এ ছাড়া প্রতি রাতে হাতের নখে ও আঙুলে অলিভ তেল মালিশ করম্নন।
নেল পলিশ এবং রিমুভার ব্যবহারের পরে আঙুল ও নখে অলিভ তেল লাগাবেন।
প্রচুর প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন, প্রতিদিন দুধ বা দই খাবেন।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাবেন।
পায়ের নখ ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়াঃ এটা খুব সাধারণ সমস্যা। নখ বড় হওয়ার সময় ভেতরের দিকে ঢুকে গেলে এমন হয়। এতে করে ওই জায়গা ফুলে যায়। লাল হয়ে মরেও প্রচণ্ড ব্যথা হয়। ইনফেকশনের কারণে এমন হয়। প্রতিকার ও প্রতিরোধঃ নখ কাটার সময় লক্ষ্য করে দু্‌ই পাশের নখ কাটবেন।
যথাযথ জুতা পরবেন।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট নখের কোণে লাগাবেন।
নখের কোণ যদি ব্যথা করে বা ফুলে যায় তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
————————
ডা. ওয়ানাইজা

সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট

সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট


ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। বাইরের ধুলো, রোদ-সবকিছুই এসে পড়ে ত্বক ও চুলের ওপর। এতে ত্বক ও চুলের ফ্রি রেডিক্যালের সক্রিয়তা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়, চুল পড়ে যায়, সাদা হয়ে যায় এবং ত্বকে বলিরেখা পড়ে কিংবা বার্ধক্যের ছাপ পড়ে।
ত্বক ও চুলের সমস্যার সমাধানে বড় ভূমিকা রাখে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ভিটামিন ‘এ’ বা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-সি এবং ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, কপার, সেলেনিয়াম ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
চুলের জন্য ভিটামিন-ই ও জিংক খুব ভালো কাজ করে। ভিটামিন-ই যুক্ত তেল মাথায় মাখলেও ফ্রি রেডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আমাদের ত্বক বাইরে বের হলেই আলট্রাভায়োলেট রশ্মির সংস্পর্শে আসে। আর এতে ত্বকে প্রচুর পরিমাণে ফ্রি রেডিক্যাল তৈরি হয়। দীর্ঘদিন এমনটি হলে অনেক সমস্যা হতে পারে। এতে ত্বক কালচে হয়ে যায়, বলিরেখা পড়ে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ক্যারোটিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই নিয়মিত বিটা ক্যারোটিন খেলে ত্বকের সূর্যের রশ্মি সহ্য করার ক্ষমতা বেড়ে যাবে। বিটা ক্যারোটিন ত্বকের ল্যাঙ্গারহ্যান্স কোষকে সক্রিয় করে আর এই কোষ ত্বককে আলট্রাভায়োলেট রে থেকে বাঁচায়। ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-ই ফ্রি রেডিক্যাল ধ্বংস করে দেয়। ভিটামিন-সি আলট্রাভায়োলেট-এ রশ্মিকে প্রতিহত করে আর ভিটামিন-ই আলট্রাভায়োলেট-বি রশ্মিকে প্রতিহত করে।
ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খাবেন, নাকি সরাসরি মাখবেন, তা নিয়ে বর্তমানে নানা বিতর্ক চলছে। তবে প্রতিদিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার কিংবা বড়ি খাওয়া অবশ্যই কার্যকর।
আবার বাইরে থেকে মেখে বা লাগিয়েও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপকার পাওয়া সম্ভব। এর সত্যতা কিছু গবেষণায় পাওয়া গেছে। ভিটামিন-ই ও ভিটামিন-সি ত্বকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়, বলিরেখার গভীরতা কমে-এমন দাবি করেছেন গবেষকেরা।

খুশকির কারণ ও চিকিৎসা

খুশকির কারণ ও চিকিৎসা


খুশকি খুবই সাধারণ সমস্যা। প্রায় প্রত্যেক মানুষের মাথায় জীবনে কোনো না কোনো সময় খুশকি হয়েছে। মাথার ত্বক বা স্কাল্পে সব সময় কিছু নতুন কোষ হয় আর কিছু পুরনো কোষ ঝরে যায়। এটা একটা চক্র। কিন্তু যখন পুরনো মরা কোষ জমে যায় এবং ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয় তখন খুশকি হয়। মাথা থেকে সাদা আঁশের মতো গুঁড়া পড়তে থাকে এবং সে সাথে চুলকানি হয়।
খুশকির কারণ
তেলের ব্যবহার : প্রচুর তেলের ব্যবহার খুশকি হওয়ার একটি কারণ। মাথার ত্বক তেলের কারণে চিটটিটে হয়ে খুশকি হয়। আবার তেল ব্যবহার করলে খুশকি হয়েছে সেটা বোঝা যায় না।
যথাযথ শ্যাম্পু ব্যবহার না করা : যথাযথ শ্যাম্পু ব্যবহার না করার কারণেও খুশকি হতে পারে। মাথার ত্বক বা স্কাল্প তৈলাক্ত হলেও খুশকি হওয়ার প্রবণতা থাকে। কিশোর বা তরুণ বয়সে ব্রণের সাথে খুশকিও খুব স্বাভাবিক সমস্যা।
স্কাল্প অত্যাধিক শুষ্ক হলেও খুশকি হতে পারে। কিন্তু ত্বক সমস্যা যেমন সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিস, একজিমা, ফাঙ্গাল ইনফেকশন এবং অন্যান্য ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন বা সংক্রমণ খুশকির মতো মনে হতে পারে। মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও মাথায় খুশকি হয়।
খুশকি সমস্যার সমাধান
প্রথমেই মাথায় তেল ব্যবহার করা বন্ধ করুন। তারপর শ্যাম্পু বদলে ফেলুন। খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। জেড পিটি অর্থাৎ জিঙ্ক পাইরিথিওনযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। পরের সপ্তাহে একদিন করে পরের এক মাসে ব্যবহার করবেন। এতে কোনো উপকার না হলে এক বা দুই শতাংশ কিটোনোনাজলযুক্ত শ্যাম্পু ও উপরিউক্ত নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। আর স্কাল্প যদি শুষ্ক প্রকৃতির হয় তবে শ্যাম্পু করার আগের রাতে অলিভ তেল মাথায় লাগাতে পারেন অথবা শ্যাম্পু করার ২ ঘন্টা আগেও অলিভ তেল লাগাতে পারেন। এরপরও সমস্যা থাকলেও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। রোগের কারণে খুশকি হলে তার যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজন।
ডা. ওয়ানাইজা

চুল ঝরবে না আর!

চুল ঝরবে না আর!


পুরুষের মাথা থেকেই সাধারণত চুল ঝরে বেশি। তাই টাক সমস্যার তাক লাগানো সব বিজ্ঞাপনের ভিড়ে পুরুষকে যেমন নাকাল হতে হয়, তেমনি মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েন তাঁরা। চুল পড়া রোধে প্রথম ব্যবস্থা হিসেবে শরীরে জোগান দিতে হবে প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলো। জন্মগত কিছু ত্রুটি ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষের চুল পড়ে যায় ভিটামিনের অভাবে। কী সেই ভিটামিন আর কেমন করেই বা ভিটামিনগুলো আমাদের চুল পড়া রোধে ভূমিকা রাখে? জেনে নেওয়া যাক এবার। চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য সেবাম গ্রন্থি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এই গ্রন্থির সুস্থতার জন্য ভিটামিন এ খুব দরকারি। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স হলো আটটি ভিটামিনের সমষ্টি। শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স একদিকে যেমন মুখ্য ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দেয়। এভাবেই চুল তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে বাড়বাড়ন্ত হয়। ভিটামিন সিতে থাকে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলকে সুস্থ যেমন রাখে, তেমনি বৃদ্ধি করে চুলের সৌন্দর্য। ভিটামিন ইর আছে লোহিত রক্তকণিকায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। তার চেয়েও বড় কথা, ভিটামিন ই মাথার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সব রক্তনালিকায় রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখে আর পৌঁছে দেয় অক্সিজেন। তাই চুল পড়ার প্রবণতাও কমে যায় অনেকখানি। এ ছাড়া সুস্থ চুল আর তার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য আরও প্রয়োজন জিংক, প্রোটিন, আয়রন, কপার ও ম্যাগনেসিয়াম।
সিদ্ধার্থ মজুমদার

চুল পড়া কমাতে

চুল পড়া কমাতে


chulpora
চুল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চুল পড়ছে। কী যে করি! এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। আর গরমে চুল পড়ার হার তুলনামূলকভাবে একটু বাড়ে। তাই বলে তো বসে থাকলে চলবে না। চুল পড়া কমানোর সমাধান দিয়েছেন কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান। তিনি জানান, গ্রীষ্মকালে মাথার ত্বকের ধরন পরিবর্তন হয়। ত্বকের গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হয়। ফলে চুল তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণে চুল পড়ে অনেক সময়। এ ছাড়া চুলের গোড়ার ঘাম না শুকালে, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে, চুলের ধরনের সঙ্গে মানানসই নয় এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলে সাধারণত চুল পড়ে।
আর এসব থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন? ফারজানা আরমান মনে করেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকলে আমাদের চুল পড়ার হার অনেকটা কমে আসবে। তবে প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়লে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পুষ্টিযুক্ত পরিমিত খাবার খেলে তা চুলেও পুষ্টি জোগায়। খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ফল, সবজি থাকতে হবে। এসব খাবার খেলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। ফলে চুল পড়া কমে যায়। এ ছাড়া চুলের গোড়ায় তেল ও ময়লা জমার কারণেও চুল পড়ে। সে জন্য খুব ভালো হয় ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার না করে একটু পাতলা ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে। ঘন শ্যাম্পু হলে তার সঙ্গে সামান্য পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। শ্যাম্পু দিয়ে মোটা চিরুনি বা ব্রাশ দিয়ে চুলের আগাগোড়া আঁচড়িয়ে ফেলুন। এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন, যাতে চুলে কোনো শ্যাম্পু না থাকে। এভাবে প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা যেতে পারে। এবার ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। কন্ডিশনার কখনোই চুলের গোড়ায় লাগাবেন না। সারা মাথার চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে দু-তিন মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
চুল পড়া কমাতে যা ব্যবহার করবেন
লিভ ইন কন্ডিশনার: সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করে লিভ ইন কন্ডিশনার। রং করা চুল কিংবা কোঁকড়া চুলের জন্য এ কন্ডিশনারটি ব্যবহার করা ভালো।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার: শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার পর পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল ঝরঝরে হয়ে গেছে। এ ছাড়া সাদা সিরকাও এভাবে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
হট অয়েল ট্রিটমেন্ট: তৈলাক্ত চুলসহ যেকোনো চুলের জন্য এটি উপকারী। তেল হালকা গরম করে তুলা বা হাত দিয়ে হালকা করে মাথার ত্বকে ঘষে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
টু-ইন শ্যাম্পু: যেসব শ্যাম্পুর গায়ে টু-ইন লেখা থাকে তা এ দেশের আবহাওয়ার জন্য খুব একটা উপযোগী নয়। একনাগাড়ে এ ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত নয়।
চুলের প্যাক
 হেনা, সামান্য পরিমাণে টকদই ও ডিমের মিশ্রণ।
 ডিম, মাখন, সামান্য পরিমাণে পানি ও জাম্বুরার রস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
 জলপাই তেল, ১০ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে হালকা গরম করে এর মধ্যে দুটি ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপসুল মিশিয়ে তা চুলে দিন। সম্ভব হলে চুলে গরম পানির ভাপ দিতে পারেন। এ জন্য তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে নিন। এরপর এর পানি ঝরিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
 পাকা কলা, এক চামচ টকদই ও এক চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাশেদ মোহাম্মদ খান বলেন, মানসিক চাপ, বড় অসুখের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাথার ত্বকে চর্মরোগ, বংশগতির কারণেও চুল পড়ে। তবে চুল পড়া কমাতে প্রধানত চুলে পুষ্টি জোগাতে হবে। সে জন্য তেল-মসলাযুক্ত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে এবং মানসিক চাপ কমাতে হবে। এ ছাড়া সময়মতো খাওয়া-ঘুমানো ও পানি পরিমাণমতো পান করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শ্যাম্পু করার সময় যেন নখের আঁচড় মাথার ত্বকে না লাগে।
আরেকটি বিষয় হলো, চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা গজিয়ে যায়। সে কারণে এটি নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। খুশকি দূর না হলেও চুল পড়ে। খুশকি থাকলে সপ্তাহে দুই দিন খুশকি প্রতিরোধী শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অন্যান্য দিন প্রোটিন, অ্যামাইনো প্রোটিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে জেল ও চুলের স্প্রে কম ব্যবহার করাই ভালো। এতে চুলের ক্ষতি কম হয়। আসল কথা হলো, চুলকে পরিষ্কার রাখতে হবে। তবেই দেখবেন চুল পড়া কমে গেছে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০৮, ২০১০

কেমন বয়সের মেয়ে বিয়ে করা উচিৎ

কেমন বয়সের মেয়ে বিয়ে করা উচিৎ

 পুরুষের সমস্যা-১ইতিপূর্বে একাধিকবার পুরুষের পাত্রী নির্বাচন এবং শারীরিক সমস্যা নিয়ে লিখেছি। এখনও আমাদের সমাজে অনেক ক্ষেত্রে ধারণা করা হয়ে থাকে পুরুষের আবার বিয়ের বয়স কিসের। পুরুষ মাত্রেই যে কোন বয়সের একটি মেয়েকে ঘরে তুলতে পারে কিন্তু বিষয়টির সামাজিক প্রেক্ষাপটের চেয়ে শারীরিক বিশ্লেষণ বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত। এই মুহূর্তে বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর বয়স নিয়ে লেখার কোন ইচ্ছেই ছিলো না। পুরুষের অন্য একটি বিষয় লিখবো ভেবেছিলাম। কারণ আমার এক পুরুষ রোগীর দীর্ঘদিন পর পিতা হবার চিকিৎসার পেক্ষাপট নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম। এ বিষয়টি পরে লেখা যাবে। যাহোক যা বলছিলাম, দু’তিন, দিন আগে আমার চেম্বারে একটা মেয়ে আসে। উজ্জ্বল শ্যামলা। শরীরের গড়ন হালকা। মেয়ে বললে ভুল হবে, কিশোরী বলাই ভালো। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাড়ী। সোনারগাঁও বললে, আমি নানা কারণে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ি। তার একটি কারণ হচ্ছে আমার লেখনীর শিক্ষাগুরু প্রখ্যাত সাংবাদিক লেখক ও কলামিষ্ট জনাব শফিকুল কবির এর বাড়ী এই সোনারগাঁওয়ে। যাই হোক, সোনারগাওয়ের সেই মেয়েটি বললেন, আমি ফর্সা হতে চাই ডাক্তার সাহেব। আমি বললাম তুমিতো অনেক সুন্দর এবং তোমার গায়ের রং যথেষ্ট ভালো। মিয়েটিকে আশ্বস্ত করতে বললাম, আমার মেয়ের গায়ের রং ও তোমার মত। তাছাড়া ত্বক ফর্সা করার কোন চিকিৎসা নেই। আজকাল কিছু কিছু বিউটি পার্লারের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে তরুণী-মহিলারা ছুটছেন তক ফর্সা করতে। আসলে ত্বক ফর্সা করার কোন ব্যবস্থা চিকিৎসা শাস্ত্রে নেই। বহুবার বলেছি আমি আমেরিকা ও সিঙ্গাপুরের দু’টি বিখ্যাত হাসপাতালে স্কিন, লেজার ও কসমেটিক সার্জারির ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় কখনও ত্বক ফর্সা করা সম্ভব এমন কথা শুনিনি। কখনও কেউ বললেনি ত্বক ফর্সা করা যায়। তবে আজকাল লেজার টেকনোলজির সুবাধে ত্বক ব্রাইট করা যায়, ফর্সা করা যায় না। মুখের ব্রাউন স্পট, পিগমেন্ট, তিল, মোল, আঁচিল, অবাঞ্ছিত লোম দূর করা যায়। ত্বক ফর্সা করার কোন লেজার ও চিকিৎসা এখনও বের হয়নি। তবে তথাকথিত হুয়াইটিনিয সিস্টেমের নামে মুখের ত্বক পুড়িয়েং দিয়ে ফর্সা করার মারাত্মক ক্ষতিকর উপায় নিয়ে দু’একটি বিউটি পার্লার প্রচার করে থাকে। এসব অবৈজ্ঞানিক মারাত্মক ক্ষতিকর হুয়াইটিং সিস্টেম নিয়ে আর একদিন বিস্তারিত লিখবো।
সোনারগাঁও এর ঐ মেয়েটির কাছে জানতে চাইলাম- তুমি কেন ত্বক ফর্সা করতে চাইছো। প্রথমে মেয়েটি সংকোচ বোধ করলেও সে জানালো আমার বিয়ে হয়েছে একমাস। স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। বর্তমানে দেশে আছে। স্বামী চায় আরও ফর্সা ত্বক। এরপর জানতে চাই তোমার স্বামী কোথায়। মেয়েটি বললো ও আমার সঙ্গেই এসেছে। ধারণা ছিলো অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ১৪/১৫ বছরের মেয়েটির স্বামীর বয়স ২০/২২-এর বেশী হবে না। ওমা বয়সে ৩৮/৪০ এর কম হবে না। প্রথম মিনিট খানেক ভীষণ রাগ হয়েছিলো। যাহোক, রোগীদের ওপর রাগ করার কোন অধিকার ডাক্তারের নেই। স্বাভাবিক হয়ে জানাতে চাইলাম আপনার নতুন বিবাহিত জীবন কেমন কাটছে। এরপর বেশখানিকটা সময় নিয়ে কথা হলো। ত্বক ফর্সা করার ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিয়ে কিশোরী মেয়েটিকে বাইরে যেতে বললাম। এর পর মধ্যবয়স্ক যুবকের কাছে জানতে চাই কেন আপনার অর্ধেকের চেয়ে কম বয়সের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। যুবকটি কোন সদুত্তোর দিতে পারলেন না। এই যুবকটি ঢাকার একটি নামকরা কলেজ এবং একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। যুবকটি জানালেন এখনই তাদের ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা হচ্ছে। বললেন ডাক্তার সাহেব শরীর ঠিক রাখতে কোন ওষুধ দেয়া যাবে কিনা। আমি দু’একটি মামুলি প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করতে দিয়ে আর একদিন আসতে বলি।
সুপ্রিয় পাঠক, আজ থেকে ১০ বছর পরের একটি দৃশ্যের কথা চিন্তা করুন। যখন সোনারগাওয়ের কিশোরী মেয়েটির বয়স হবে ২৫। পরিপূর্ণ এক যুবতী। আর যুবকটির বয়স হবে ৪৮/৫০। এ বয়সে নিশ্চয়ই দু’জনের চাওয়া-পাওয়ার ক্ষেত্রে থাকবে অনেক ব্যবধান। এখানে আজকের কিশোরীটির চিরায়ত বাঙালী চরিত্রের রূপায়ণ অর্থাৎ সব কিছু নিরবে মেনে নিয়ে বয়স্ক স্বামীর ঘর করা অথবা পরিবারের সকলের অমতে ভিন্ন চিন্তা করাই কিন্তু আমাদের মত রক্ষণশীল সমাজে সব সময় ছাড়া উপায় নেই। কাজটি করতে পারে না অথবা করে না। যাহোক, আমাদের দেশে এখনও আইন বলবৎ আছে মেয়েদের ১৮ বছরের নীচে এবং পুরুষের ২১ বছরের কম বয়স বিয়ে করা উচিত নয়। বয়সের পার্থক্য কেমন হবে তা অবশ্য আইনে বলা নেই। তবুও একজন নগন্য সেক্সোলজিষ্ট হিসেবে আমার নিজস্ব অ্যাসেসমেন্ট হচ্ছে বিয়ের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বয়সের ব্যবধান বেশী থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। এছাড়া কোন অবস্থাতেই মেয়েদের ১৮ বছরের নীচে বিয়ে দেয়া উচিত নয়। সম্ভব হলে মেয়েদের নূন্যতম বিয়ের বয়স ২০ বছর নির্ধারন করা উচিৎ। বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়েদের একই বয়সী না হলে বয়সের ব্যবধান সর্বোচ্চ ৫/৭ বছরের মধ্যে থাকা ভালো। তবে যে কোন মেয়ে তার পরিপূর্ণ বয়সে যে কোন বয়সের পুরুষদের বিয়ে করার আইনগত অধিকার রাখেন। এটা নিশ্চয়ই তার নিজস্ব ব্যাপার। তবে অপরিণত মেয়েদের ক্ষেত্রে স্বামীর বয়স নির্ধারণ করার দায়িত্ব অবশ্যই অভিভাবক বা পিতা-মাতার। শারীরিক ও মানসিক সমস্যা এড়াতে অবশ্যই স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কম হওয়া উচিত। পাশাপাশি যদি কেউ বেশী বয়সে বিয়ে করতে চান তাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। এতে ভবিষ্যতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সৃষ্ট নানা সমস্যা এড়ানো যায়।
—————————–
ডাঃ মোড়ল নজরুল ইসলাম
চুলপড়া, যৌন সমস্যা, পুরুষ বন্ধ্যাত্ব চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
এবং লেজার এন্ড কসমেটিক্স সার্জন
বাংলাদেশ লেজার স্কিন সেন্টার

কোমরে ব্যথায় ১০ পরামর্শ

কোমরে ব্যথায় ১০ পরামর্শ 

কোমরে ব্যথা নিরাময়ে যেমন ব্যায়াম জরুরি, তেমনি সতর্কতাও কাজে আসে।

১. নিচ থেকে বা মাটি থেকে কিছু তুলতে হলে না ঝুঁকে হাঁটু ভাঁজ করে বসুন ও তারপর তুলুন।
২. ঘাড়ে ভারী কিছু ওঠাবেন না। ভারী জিনিস শরীরের কাছাকছি রাখুন। পিঠে ভারী কিছু বহন করতে হলে সামনে ঝুঁকে বহন করুন।
৩. ৩০ মিনিটের বেশি একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না। হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না। দীর্ঘ সময় হাঁটতে হলে উঁচু হিল পরবেন না। অনেকক্ষণ একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন। একটু বসে বিশ্রাম নিন।
৪. গাড়ি চালানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে না বসে সোজা হয়ে বসুন।
৫. চেয়ার টেবিল থেকে বেশি দূরে থাকবে না। সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না। কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন। এমনভাবে বসুন, যেন হাঁটু ও ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকে। নরম গদি বা সিপ্রংযুক্ত চেয়ার পরিহার করুন। ছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন।
৬. উপুড় হয়ে শোবেন না। ফোম বা সিপ্রংয়ের গদিযুক্ত বিছানা পরিহার করুন। বিছানা শক্ত ও চওড়া হলে এবং তোশক পাতলা ও সমান হলে ভালো।
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
৮. নিয়মিত কায়িক শ্রম করুন বা ব্যায়াম করুন। নিয়মিত হাঁটুন।
৯. কাটা-কোটা, রান্না, মসলা পেষা, ঘর মোছা, কাপড়কাচা, ঝাঁট দেওয়া বা নলকূপ চাপার সময় মেরুদণ্ড সাধারণ অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন।
১০. যাঁরা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা বিছানা থেকে ওঠার সময় সতর্ক হোন। চিত হয়ে শুয়ে প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করুন। এবার ধীরে ধীরে এক পাশে কাত হোন। পা দুটি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, কাত হওয়া দিকে কনুই ও অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন।
অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান
নিউরো সার্জারি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।